দুর্ণীতির আখড়ায় কায়েতপাড়া তহশিল অফিস, ভোগান্তি চরমে দুর্ণীতির বরপুত্র সহকারী তহশিলদার শহিদের অপসারণ দাবীঅ

নিয়ম,ঘুষ-দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী শহিদুল ইসলাম । তিনি অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে সরকারী নিদর্শনাকে

বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে নামজারি প্রস্তাব দিতে ৩ থেকে ৪০০০ টাকা প্রকারভেদে আরো বেশি নিয়ে থাকেন ও খাজনার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের
কায়েতপাড়া তহশিল অফিস দুর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ছাড়া এখানে কোন ফাইল নড়েনা।

অফিসের পদে-পদে টাকা দিয়ে স্থানীয় লোকজন হয়রান। তহশিল অফিসের সহকারী তহশিলদার শহিদুল ইসলাম এসব দুর্ণীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে ভুক্তভোগী অনেকে অভিযোগ
করেছেন। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাকে অপসারণ করা না হলে ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, কায়েতপাড়া তহশিল অফিসে নামজারী করতে আসা লোকজন নানাভাবে হয়রানির
শিকার হচ্ছেন। সাধারণ নামজারী করতেও টাকা গুণতে হয়। আর ‘খ’ তফসিল হলেইতো কথাই নেই। অভিযোগ রয়েছে, সরকারী গোপন নথি ও ভলিয়ম বই টাকার বিনিময়ে যে কেউ দেখতে পারছে।

ভুমি উন্নয়ন করের রসিদ সরকার নির্ধারিত ফি’র
চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও রশিদে লেখা হয় হয় সরকারি হিসাবের টাকা। এভাবেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়েনিচ্ছেন ঐ কর্মকর্তা। ফলে জনসম্পৃক্ত অতি গুরুত্বপুর্ন এই
খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মনে করেন এলাকাবাসী।
বিভিন্ন অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন তহশিল অফিসের প্রায় ৭০টিরও বেশি রশিদে রয়েছে সীমাহীন গড়মিল। এভাবে প্রতিদিনেই দুর্নীতি
করে প্রতিকার বিহিন নিরবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম । এছাড়াও
অনিয়মের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদকর্মী জেনেও
দুর্ব্যবহার করেন তিনি। এসব দুর্ব্যবহারের বিষয়ে
সংবাদকর্মীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কর দিতে অফিসের সামনে ও ভিতরে
প্রতিদিন ভিড় করছেন সেবা প্রার্থীরা। কিন্তু খাজনা আদায়,
, নামজারি, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ,নীতি
মালা ভঙ্গ করে জমি বরাদ্দ দেওয়া, জমির মূল্যের চেয়ে বেশী কর দাবী
করা,সময় মত অফিস না করা,আজ হবে না কাল এসব বলা এছাড়াও
ঐ কর্মকর্তার চাহিদা মত টাকা না দিলেই চরম দূব্যবহার করে
থাকেন বলে জানান এলাকাবাসী ও দুর দুরান্ত থেকে আসা সেবা
গ্রহিতারা। শহিদুল ইসলাম ঘনিষ্ট একটি সূত্রমতে, গত কয়েকবছরে সে কায়েতপাড়ার ডাক্তারখালিতে দোতলা বাড়ি করেছেন। কুমিল্লার
চান্দিনায় রয়েছে জমি। ব্যাংকে নামে-বেনামে রয়েছে টাকা।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নী। কায়েতপাড়া ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল জলিল বলেন, বিষয়টা আমি দেখবো।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি}আফিফা খান বলেন, আমার
জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।